সোমবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বং।
সানশাইন ডেস্ক : বছর ঘুরে আবার এসেছে বাঙালীর অহঙ্কার মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। তবে এবার বিজয়ের মাস এসেছে এক অনন্য গৌরবের ইতিহাস নিয়ে। বাড়তি ইতিহাস হলো মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মাস শুরু হলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন শেষে এবার শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর ক্ষণগণনা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্মের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে।
১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেছিল হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী, পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ’। লাল-সবুজ পতাকা উর্ধে তুলে ধরে বিজয়ী বাঙালীরা। সেই পতাকা উঁচিয়ে চলছে প্রগতির পথে বাঙালীর অভিযাত্রা। প্রগতির পথ ধরে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। অন্ধকারের অপশক্তিকে পরাজিত করে বাংলাদেশের আরও অদম্য গতিতে এগিয়ে চলার স্বপ্ন দেখছেন স্বাধীনতার পক্ষের সকল বীর বাঙালীরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালী জাতি হাজারও বছরের শৃঙ্খলিত দাসত্বের শিকল ছিন্ন করে জাতি দেখেছিল স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন। সেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে-নির্দেশে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল লাল-সবুজের এক জাতীয় নিশান, অর্জিত হয়েছিল এক বাংলার মানচিত্র। আগামী ১৬ ডিসেম্বর সেই অর্জিত বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস। বিজয়ের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এক অন্যরকম অনুভূতি এবং বর্ণাঢ্য উৎসব-আনন্দে মেতে উঠবে গোটা জাতি।
হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালী তার আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও স্বাধীন পতাকা পেয়েছিল যে মাসে, তার নাম ডিসেম্বর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে চলমান ‘মুজিববর্ষ’-এর মধ্যেই শুরু হলো বাঙালীর কাক্সিক্ষত মুক্তিসংগ্রামে বিজয় অর্জনের মাস ডিসেম্বর। আগামী ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাঙালীর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। আর এরমধ্য দিয়েই এক বছর ধরে চলা মুজিববর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি ঘটবে। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনটিকে সামনে রেখে এবারের বিজয়ের মাস বিশেষ তাৎপর্য বয়ে এনেছে পুরো জাতির জীবনে।
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ হয়েছিল মহান বিজয়ের মাসে। বাঙালী জাতির জন্য এক অনন্য স্মৃতিবিজড়িত দিন ১৬ ডিসেম্বর। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে স্মরণ করা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, যাঁদের আত্মত্যাগে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামক এক ভুখন্ডের। দেশকে স্বাধীন করার জন্য বাঙালী জাতিকে পাড়ি দিতে হয়েছে এক দীর্ঘ পথ। তাই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের এ বিজয় শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এর পেছনে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের রক্ত ও মহান আত্মত্যাগ।
তবে এবার এক ভিন্ন আবহে এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এখনও বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের চোখ রাঙানি বন্ধ হয়নি। কিন্তু সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর এ বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবেই বিজয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাঙালীর দুটি সুমহান অর্জন মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্মশতবর্ষকে ঘিরে বিজয়ের মাস এই ডিসেম্বরে বাঙালী জাতি নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে নতুন করে শপথ নেবে।