
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : পথ ভুলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার লোকালয়ে এসে ছুটে বেড়াচ্ছে এক হনুমান। সকালে এক এলাকা তো বিকেলে অরেক এলাকার গাছে গাছে ছুটে বেড়াচ্ছে হনুমানটি। আর এটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন কৌতূহলী মানুষ। অনেকে মোবাইলে ফোনে ছবি তুলে রাখছেন।
উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান জানান, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় তিনদিন ধরে হনুমানটি দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ করেই তার আগমন ঘটেছে। তারপর থেকে হনুমানটি পুরো এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বেশীরভাগ সময় থাকছে গাছের ডালে ডালে। হনুমানটি কী ভাবে কোথায় থেকে লোকালয়ে এসেছে, তা কেউ বলতে পারছেন না।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কৌতূহলী লোকজনের উৎপাত থেকে বাঁচতে হনুমানটি উঁচু গাছের ডালে আশ্রয় নিয়েছে। হনুমানটিকে খাওয়ানোর জন্য অনেকেই কলা, বিস্কুট, পাউরুটি দিচ্ছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, কোন প্রাণী অসুস্থ হয়ে গেলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে উপজেলা পর্যায় কোন প্রাণী সংক্ষণ করার ব্যবস্থা তাদের নেই।
বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু জানান, উপজেলার গাওপাড়া এলাকায় কয়েক দিন থেকে হনুমান দেখা যাচ্ছে। এ হনুমানকে দেখতে আসা মানুষ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিচ্ছে। এ খাবার খাচ্ছেও। হনুমানটি দেখার জন্য মানুষ ভিড় করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
রাজশাহী বনবিভাগের প্রধান কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, তাদের কাছে প্রাণী সংরক্ষন ও ধরার কোন ব্যবস্থা নেই। এটি ধরতে হলে ঢাকা থেকে লোকবল আনতে হবে। এরপর বন্যপ্রানীদের জন্য অভয়অরন্য কোনো বনে গিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। দেশের কোন চিড়িয়াখানায়ও রাখা যেতে পারে। তবে হুনমানটিকে বিরক্ত না করে নিজের মত চলতে দেয়ায় ভালো বলে মত দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শাহিন রেজা বলেন, হনুমান বৃক্ষচারী ও শান্তি প্রিয় প্রাণী। এরা চলাফেরা, ঘুম, খাবার সংগ্রহ, খেলাধুলা ও বিশ্রামসহ সবকিছু গাছে-গাছে সম্পন্ন করে। মূলত গাছের পাতা খেয়ে জীবনধারণ করে হনুমাণ। এটিকে বিরক্ত না করে সংরক্ষনের জন্য প্রাণী সম্পদ বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।